তিসির বিভিন্ন উপকারিতা :
● তিসির মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট যা ব্লাড ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্● গ্যাস্ট্রিক ও আলসার দূর করে এবং অ্যাজমা থেকে রক্ষা করে।
● যারা তামাক বা অন্য নেশায় আক্রান্ত তাদের জন্য তিসি খুবই উপকারী। এটি নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রতিদিন খাওয়ার পর অল্প পরিমাণ তিসি চাবালে দ্রুত নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।
● যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তাদের খাদ্য তালিকায় তিসি রাখতে পারেন। প্রতিদিন দুই চামচ তিসির পাউডার এর জন্য যথেষ্ট। এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও এমাইনো এসিড বিপি কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এই বীজ দিয়ে চা করে খেলেও রক্তের প্রেসার স্বাভাবিক থাকবে।
● গবেষণায় জানা গেছে, তিসি আমাদের শরীরের এইচডিএল (ভালো কোলেস্টোরাল) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টোরালকে কমায়। অর্থাৎ এটি আমাদের কোলেস্টোরালকে নিয়ন্ত্রণ করে।
● যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের ইনসুলিন নেয়ার প্রয়োজন নেই, যদি এই তিসি সেবন করে থাকেন দৈনিক অন্তত ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। আর যাদের ডায়াবেটিস নেই তারা যদি এটি গ্রহণ করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকবে।
● তিসি আমাদের হতাশা ও দুশ্চিন্তা দূর করে। মেজাজ ফুরফুরে রাখতেও সাহায্য করে।
● এটি আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম লেভেল বাড়ায়। হাড় ও শরীরের জয়েন্টগুলো সুস্থ রাখে। যার ফলে বৃদ্ধ বয়সে হাড্ডিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
● তিসির বীজ মেয়েদের মেনোপোজের সময় ব্যথা দূর করতেও অনেক উপকারী।
● তিসি আমাদের চুল ও ত্বকের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি মুখের বলিরেখা প্রতিরোধ করে, চুল পড়া রোধ করে, ত্বককে মসৃণ রাখে, ত্বক উজ্জ্বল রাখে, যৌবন ধরে রাখে। এটি ব্রণ ও যেকোন চামড়া জাতীয় রোগ প্রতিরোধ করে। এটি মাথায় খুশকি হতে দেয় না এবং মাথার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ঠিক রাখে।
তিসি খাওয়ার নিয়ম
তিসিকে খাওয়ার জন্য একে ভেজে নিয়ে পাউডার তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে বা সকালের নাস্তার সঙ্গে খেতে হবে। তবে রাতে খেলে কার্যকারিতা বেশি পাবেন। প্রতিদিন ছোট চামচের এক চামচ তিসিই যথেষ্ট স্বাস্থ্যের জন্য। বেশি পরিমাণে খেলে ডায়রিয়া বা গেস্ট্রিক হতে পারে।